প্রাথমিক ধারনা।
C-TPAT যার পূর্ন রুপ- Customs Trade Partnership Against Terrorism.
সি-টিপ্যাট হচ্ছে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অংশিদারিত্বমুলক শুল্ক বানিজ্য। এটি একটি স্বেচ্ছাসেবি সরকারী-বেসরকারী খাতের অংশিদারিত্ব প্রোগ্রাম, যারা স্বীকার করে যে শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক সরবারহ শৃঙ্খলের স্টকহোল্ডারদের সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগীতার মাধ্যমে কার্গো নিরাপত্তা সর্বোচ্চ প্রদান করা সম্ভব।
সি-টিপ্যাট এর জন্য একটি সংবিদিবদ্ধ কাঠামো নির্ধারন করা হয়েছে, এবং কঠোর তদারকির কথা বলা হয়েছে। সি-টিপ্যাট সার্টিফিকেট প্রাপ্ত সকল কোম্পানীতকে অবশ্যই সরবরাহ চেইন জুরে ঝুকি নির্ধারন ও ঝুকি হ্রাস করার জন্য নথিভুক্ত প্রক্রিয়া থাকতে হবে। সি-টিপ্যাট কোম্পানীগুলোকে কম ঝুকি হিসেবে বিবেচনা করার অনুমতি দেয়, যার ফলশ্রুতিতে কম কাস্টমস পরীক্ষাসহ তাদের পন্য দ্রুত প্রক্রিয়াকরন করা হয়।
সি-টিপ্যাট অডিটররা যে সকল এড়িয়া নিয়ে কাজ করে--
১. বাইরের বাধা ও শারীরিক নিরাপত্তা।
২. কারখানার কর্মচারীদের নিরাপত্তা।
৩. কারখানার অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা।
৪. শিপিং ডক নিরাপত্তা।
৫. চাবি ও সীল নিরাপত্তা।
৬. কম্পিউটার সিস্টেম নিয়ন্ত্রন ও নিরাপত্তা।
৭. নিরাপত্তা প্রক্রিয়া।
সি-টিপ্যাট এর অংশীদারি হওয়ার প্রক্রিয়া।
সি-টিপ্যাট নিরাপত্তা নীতিমালা সমূহ।
শ্রমিক, কর্মচারীদের প্রবেশের সময় নিরাপত্তা :-
১. শ্রমিক, কর্মচারীগন ফ্যাক্টরীতে প্রবেশের সময় তাদের আইডি কার্ড দেখাচ্ছে কিনা তা দেখা।
২. শ্রমিক, কর্মচারীগন নিদির্ষ্ট সময়ের মধ্যে ফ্যাক্টরীতে প্রবেশ করছে কিনা তা দেখা।
৩. নির্দিষ্ট সময়ের পর প্রবেশ করতে চাইলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়া হয়েছে কিনা তা দেখা।
৪. কোন প্রকার অবৈধ কিছু নিয়ে ফ্যাক্টরীতে প্রবেশ করছে কিনা চেক করা।
৫. হাতব্যাগ, টিফিন ক্যারিয়ার খুলে পরীক্ষা করে দেখা, যাতে কোন প্রকার অবৈধ কিছু নিয়ে প্রবেশ করতে না পারে।
৬. ব্যাক্তিগত প্রয়োজন শেষে গেইট পাসে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে প্রবেশ করছে কিনা তা দেখা।
৭. ফ্যাক্টরীতে প্রবেশের পর থেকে বাহির হওয়া পর্যন্ত আইডি কার্ড প্রদর্শিত অবস্থায় রাখতে হবে।
শ্রমিক কর্মচারী বের হওয়ার সময় নিরাপত্তা :-
১. ঘন্টা দিয়ে লাঞ্চের সময় জানানো।
২. গেইট দিয়ে বের হওয়ার সময় অন্য কিছু নিয়ে বের হচ্ছে কিনা তা দেখা।
৩. ছুটির সময় টিফিন বক্স ও ব্যাগ চেক করা।
৪. ছুটির সময় শ্রমিকদের সারিবদ্ধভাবে বের হতে সহায়তা করা।
রপ্তানিযোগ্য ও সাধারণ মাল লোডশেডিং এর সময় নিরাপত্তা :-
১. এক্সপোর্টের মালামাল, কার্টুন, রোল লোডিং এর সময় সঠিকভাবে গুনে দেখা।
২. এক্সপোর্টের মালামাল, কার্টুন, রোল লোডিং হওয়ার পর গেইট পাস বুঝে নেয়া।
৩. এক্সপোর্টের কার্টুন, রোল খোলা বা ভাঙ্গা, ছেড়া আছে কিনা দেখা।
৪. এক্সপোর্টের মালামাল, কার্টুন, রোল লোডিং এর সময় কেউ কোন কিছু রাখছে কিনা দেখা।
৫. এক্সপোর্টের বা সাধারন মালামাল, কার্টুন, রোল লোডিং হওয়ার পর গেইট পাসে স্বাক্ষর সহ সীল নিশ্চিত করা।
৬. আমদানিকৃত মালামাল আসলে গুনে, বুঝ৷ ট্রাক থেকে নামানো।
৭. মালপত্র গুলো চালানের সহিত মিলিয়ে দেখা।


0 Comments:
Post a Comment