র্যাপ (WRAP) অডিট কি?
WRAP যার পুরো অর্থ হচ্ছে- Worldwide Responsible Accredited Production.
WRAP র্যাপ অডিট মূলত আমেরিকান বায়ারদের জন্য প্রয়োজন হয়। এটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান যারা পোশাক, জুতা ও সেলাই করা পন্যের জন্য সার্টিফিকেট বা সনদ প্রদান করে থাকে। র্যাপ সনদ পেতে হলে প্রথমেই প্রতিষ্ঠানকে র্যাপ বরাবর রেজিস্ট্রেশন করতে হয়।
বিভিন্ন ধরনের র্যাপ অডিট ফার্ম আছে। যেমন- BV, Intertek, HGS
র্যাপ অডিট প্রক্রিয়া
Initial Audit (ইনিশিয়াল অডিট): ফ্যাক্টরীতে প্রথমবার যে অডিট হয় তাকে ইনিশিয়াল অডিট বলে।
Periodical Audit (পেরিওডিক্যাল অডিট): ফ্যাক্টরীতে নিয়মিত মনিটরিং এর জন্য যে অডিট হয় তাকে পেরিওডিক্যাল অডিট বলে।
Follow-up Audit (ফলোআপ অডিট): ফ্যাক্টরীতে প্রথমবার সংঘঠিত ইনিশিয়াল অডিটে যে সকল ফাইন্ডিং পাওয়া যায় তা যাচাই করার জন্য যে অডিট হয় তাকে ফলোআপ অডিট বলে।
* ফলোআপ অডিট আবার ০৩ প্রকার।
1. Full Follow-up Audit: যদি ইনিশিয়াল অডিটে অনেক ফাইন্ডিং থাকে তাহলে যে অডিট হয় তাকে Full Follow-up Audit বলে।
2. Partial Follow-up Audit: যদি শুধুমাত্র পূর্বের অডিটের ফাইন্ডিং যাচাই করার জন্য অডিট হয় তাকে Partial Follow-up Audit বলে।
3. Desktop Follow-up Audit: পূর্বের ফাইন্ডিং যাচাই করার জন্য ফ্যাক্টরীতে না গিয়ে শুধুমাত্র কম্পিউটারের মাধ্যমে মেইল, ছবি দিয়ে যদি ফাইন্ডিং সংশোধন করা যায় তাহলে সে অডিটকে Desktop Follow-up Audit বলে।
র্যাপ এর মূলনীতি বা আচরন বিধি সমূহ –
১. কর্মক্ষেত্রে আইন ও নিয়ম শৃঙ্খলার মান্যতা (Compliance with law and work place regulation)
২. জোর পূর্বক শ্রম নিষিদ্ধ (Prohibition of forced labor)
৩. শিশুশ্রম নিষিদ্ধ (Prohibition of child labor)
৪. হয়রানি ও অপব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা (Prohibition of harassment)
৫. মজুরি ও ভাতা (Compensation and benefits)
৬. কর্মঘন্টা (Hours of work)
৭. বৈষম্যমূলক আচরণ পরিহার (Prohibition of discrimination)
৮. স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা (Health & safety)
৯. সমিতির স্বাধীনতা ও যৌথ দরকষাকষির অধিকার (Freedom of association & collective bargaining)
১০. পরিবেশ (Environment)
১১. শুল্ক আইন (Customs compliance)
১২. নিরাপত্তা (Security)
র্যাপ ১২ টি মূলনীতির উপর প্রতিষ্ঠিত যেগুলোর সাথে সঙ্গতিপূর্ন হলে র্যাপ বিভিন্ন মেয়াদে ৩ (তিন) ধরনের সার্টিফিকেট প্রদান করে।
র্যাপ অডিট ০৩ ধরনের সার্টিফিকেট প্রদান করে।
০১. প্লাটিনাম (Platinum) - ২ বৎসরের জন্য।
০২. গোল্ড (Gold) - ১ বৎসরের জন্য।
০৩. সিলভার (Silver) - ৬ মাসের জন্য।
র্যাপ সার্টিফিকেশন অডিট প্রতিষ্ঠানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন, এই সার্টিফিকেট প্রতিষ্ঠানের জন্য অনেক সুযোগ সুবিধা প্রদান করে। যেমন-
১. ন্যায্য নিয়োগকর্তা হিসেবে ভোক্তাদের মাঝে প্রতিষ্ঠানের খ্যাতি বাড়ে।
২. শ্রমিকদের সাথে ন্যায্য ও মানবিক আচরন নিশ্চিত করে।
র্যাপ অডিটে লক্ষনীয় বিষয়:
১. ৪৫ দিনের সিসি ক্যামেরা ব্যাকআপ লাগবে।
২. ইলেকট্রিকাল সেফটি সার্টিফিকেট, স্ট্রাকচারাল সেফটি সার্টিফিকেট, ফায়ার সেফটি সার্টিফিকেট লাগবে।
৩. ওয়্যার হাউজ, কারখানাতে উঠার জন্য প্রতিটি সিড়িতে সিসি ক্যামেরা লাগবে।
৫. লোড আনলোড এরিয়াতে এমন ভাবে সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে যেনো কন্টেইনারের প্লেট নাম্বার স্পষ্ট দেখা যায়।

0 Comments:
Post a Comment